Skip to main content

আমরা অন্ধকারে কোন কিছু দেখতে পাই না। কিন্তু অন্ধকার কিভাবে দেখি?

আমরা অন্ধকারে কোন কিছু দেখতে পাই না। কিন্তু অন্ধকার কিভাবে দেখি? আসলে অন্ধকার বলে কিছুই নেই। কি অবাক লাগছে! আসুন দেখি ফিজিক্স কি বলে এ বিষয়ে! কোন বস্তুকে আমরা তখনি দেখতে পাব যখন ওই বস্তুতে পতিত আলোর কনা ফেরত হয়ে আবার আমাদের চোখে এসে ধরা পড়বে। আমাদের চোখে যে আলোটা এসে ধরা পড়ে সেটা আসলে মহাবিশ্বে থাকা বিশাল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ। এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন এর কয়েক ধরনের আলো আছে। আমরা কিন্তু সবকিছু দেখতে পাই না। কারন আমাদের দৃষ্টি ওই রেডিয়েশনের একটু ক্ষুদ্রতম অংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেমন ধরুন আমরা একটা পাখিকে যেভাবে রঙিন দেখি, একটা বিড়াল কিন্তু সেভাবে দেখে না। কারন রঙিন দেখার জন্যে সেই কোষগুলো বিড়ালের নেই। আবার তাদের এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো আমাদের নেই, তাই তো তারা রাতের বেলা দেখতে পারে কিন্তু আমরা পারি না। আমরা যখন কোনকিছু দেখার কথা বলি সেটা মূলত visual perception. ধরুন কোন সোর্স থেকে আলো উৎপন্ন হয়ে কোন পাখির উপরে পড়ল। সেটা আবার বাউন্স করে ক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের চোখের মধ্যে দিয়ে প্রতিবিম্ব হয়, সেই প্রতিবিম্ব আবার আমাদের চোখের কোষগুলো মাথার ভিতরে থাকা নিউরন কোষের মধ্যে ট্রান্সফার করে। তার পরে মস্তিস্ক আমাদেরকে বলে দেয় এটা আসলে একটা পাখি। তার পরে সেই মস্তিস্কই আমাদেরকে আবার মাথার মধ্যে থাকা পাখিদের অন্যান্য ছবি গুলোরে রিপ্লে করিয়ে তার কথা মনে করিয়ে দেয়। এভাবেই সবকিছু হয়ে যায় আর কি। এখন আসি অন্য কথায়। আমরা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইব না যে আমরা যা কিছু দেখি তার বাইরেও মহাবিশ্বে অনেক কিছু আছে। এমন কোন বস্তু যদি থেকে থাকে যেটা শুধু এক্স রে ওয়েভেই দেখা যাবে, তাহলে সেটা আমাদের চোখে কখনোই ধরা পড়বে না। এমনকি কন নির্দিষ্ট ক্যামেরাতেও সেটা আপনি দেখতে পাবেন না। কারন এক্সরে ক্যামেরাতে আমরা যা দেখি সেটাতে হালকা রং করা থাকে। আর রং করা মানে জিনিষটার আসল চেহারা আপনার চোখে অধরাই থেকে যাবে। যদি আপনি বলেন ভুত, জীন বা অন্যকোন জিনিষ আছে। তবে সেটার একটা বৈজ্ঞানিক এক্সপ্লেনেশন হতে পারে তাদের দৃশ্যতা আমাদের চোখের সিমার মধ্যে নাই। তবে নিশ্চিতভাবে ধরে রাখেন এই মহাবিশ্বে অসংখ্য জিনিষ আছে যেগুলো আমাদের এই সাধারন চোখের দেখার কোন সাধ্য নাই। তা আপনি যত ক্যামেরা লাগিয়ে দেখতে চান না কেন। এবার তো বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা আসলে কি! মূলত অন্ধকার বলতে কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নি। শুধুমাত্র আমাদের চোখের মধ্যে ওই আলোটুকু ধরার কোন ক্ষমতা নেই বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

Comments

Popular posts from this blog

ঢাকাই সিনেমায় নতুন অভিষেক হলো ফারদিন ও আঁখির

ঢাকাই সিনেমায় নতুন অভিষেক হলো ফারদিন ও আঁখির। বিনোদন বার্তা : ঢাকায় সিনেমায় নতুন হিরোর অভিষেক হলো দেশীয় চলচ্চিত্র মা চরিত্রের অভিনেত্রী রেবেকা রউফ এর ছেলে ফারদিন ও নতুন নায়িকা আঁখি। 'শাহজাদা 'নাম খ্যাত এই সিনেমা পরিচালনা করছেন ডায়েল রহমান ও সহকারী পরিচালনায় নাম উঠিয়েছেন তরুন নির্মাতা জিহাদ ইসলাম। এবং জানা গেছে অভিনেত্রী রেবেকা রউফ এই সিনেমায় প্রযোজনা করছেন। সিনেমাটির শুটিং শুরু করেছেন গত ৩রা ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা রাজলক্ষ্মী তে,পরিচালক জানিয়েছেন, দেশীয় সিনেমা প্রেমীদের আগের রাজকীয় কাহিনি নিয়ে আবারো পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছি বাংলার সকল হল,তাই আমরা আশাবাদী এই সিনেমা দর্শক প্রিয় হবে। অন্য দিকে,তরুণ নির্মাতা সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন জিহাদ, এবং তিনি বলেছেন,আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি দেশীয় চলচ্চিত্রের যে ইমেজটা,তা আবারো ফিরে আনবার,ইনশাআল্লাহ আবারো হলমূখি দর্শক করবো। জানা গেছে এই সিনেমায় পুরাতন ও মধ্যেযুগিও রাজাদের কাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। এবং এই সিনেমায় পুরাতন ও নতুনদের সুযোগ দিয়ে চলছে শুটিং।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে "৪ দফা দাবি " বাস্তবায়নে আগামীকাল মানববন্ধন কর্মসুচি

 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে "৪ দফা দাবি " বাস্তবায়নে ⛔ আগামীকাল, সকাল ১১ টায় _ প্রেসক্লাবে আন্দদোলন ও ধর্মমঘাট!!  দাবি সমূহঃ ১.করোনা সংকটকালীন সময়ে সকল বেসরকারি কলেজের টিউশন ফ্রী অর্ধেক মওকুফ করতে হবে ।  ২.তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের সংকট দূক করতে অনতিবিলম্বে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।  ৩.অনতিবিলম্বে মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরিক্ষা নেয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  ৪.বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু সনদ প্রদানের কেন্দ্র না করে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । আয়োজনে ঃ  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ ।

বুড়িমারির সেই গুজব রটিয়ে জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

  বুড়িমারিতে  পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার লালমনিরহাট প্রতিনিধি. লালমনিরহাটে গুজব ছড়িয়ে শহীদুন নবী জুয়েল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা তাকে গ্রেফতার করে ডিবি মিরপুর বিভাগ। ডিবি মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজধানীর ভাটারা থানাধীন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি লালমনিরহাটের আলোচিত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি। আবুল হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তিনি আত্মগোপণে ঢাকায় এসেছিলেন। গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আবুল হোসেনকে লালমনিরহাট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।