ইদানীং আমরা অনেক ফ্রিল্যান্সারদের শারীরিক অবনতি নিয়ে অনেকেই ডক্টরের কাছে যাচ্ছে। আবার অনেক ডক্টর, দেখে জিজ্ঞেস করেই ফেলে ড্রাগ নেন নাকি ফ্রিল্যান্স করেন ? অনেকেই আবার শরীরের প্রতি লক্ষ্য না রেখেই সাধারণ ওষুধ খেয়ে দিন পার করছি আবার কোনো ওষুধ খাই না। নিয়মিত রাত জাগার ভয়বহতা আমরা সকলেই জানি, জটিল সব রোগের বীজ হলো রাত জাগা, কিন্তু জীবিকার টানে জগতে হচ্ছে। আবার একটা কথাও আছে রাতজাগা ছাড়া নাকি সফলতা আসেনা। যাইহোক সমস্যা আছে সমাধানও আছে। আমি আমার সকল ভাই-বোনদের বলবো এখনো সময় আছে সাস্থসচেতন হয়ে যান। আমার অনেক পরিচিত ফ্রিল্যান্সার আছে যারা এখন অসুস্থতায় জর্জরিত হয়ে বেকার অথবা সামান্য বেতনে চাকরি করছে। অনেককে আমরা হারিয়েছি অল্প বয়েসে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হল ফ্রিল্যান্সারদের জাতীয় রোগ, গ্যাস্ট্রিক হলে কোনো ওষুধ খাবেন না, খালি পেটে গরম পানি লেবু আর ১ চামুচ ভিনেগার খাবেন, ৩০ মিনিট পরে কিছু খাবেন ইনশাল্লাহ ৭ দিন পরে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া লাগবে না , মনে রাখবেন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আপনার হজম শক্তি নষ্ট করে একটা সময় আপনি ওষুধ ছাড়া অচল হয়ে যাবেন। ভাত আমরা সকলেই খাই কিন্তু ভাতের সাথে যদি ( কাঠ , কাজু , পেস্তা , আখরোট , চীনা বাদাম একসাথে গুঁড়া ) ৩/৪ চামুচ নেই তবে কিন্তু পাবেন পৃথিবীর সেরা পুষ্টিকর খাবার। খাবার শেষে ৩/৪ তা খুরমা খেজুর, ২০/২৫ টা কালো কিসমিস খান। খাবার পরে ঠান্ডা পানি পান পরিহার করে, কুসুম গরম পানি খান। আর বাসি খাবার একদম খাবেন না। আবোল তাবোল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কাজে বসার আগে ব্ল্যাক কফি খান। হালকা ব্যাম করেন নিয়মিত, শরীর মন ভালো থাকবে। শারীরিক কোনো সমস্যা হলেই ওষুধ খাবেন না , পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আর জীবন যাপন দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ধর্মীয় কাজে নিজের সময়কে একটু দিয়ে দেন। ধুমপান, ড্রাগ সাময়িক প্রশান্তি দিলেও জীবনে হাহাকার নামিয়ে আনে।আর চোখের মতো মূল্যবান জিনিসের জন্য UV প্রোটেক্ট গ্লাসের চশমা, পরে নিতে পারেন। আর ৯০/১২০ দিন পর পর চোখ পরীক্ষা করে নিয়েন। চোখের সমস্যা থেকে মাথা ব্যাথা , ঘুরা , ব্লাড প্রেসার সমস্যা হতে পারে। এমন অভ্যাস করতে সময় লাগবে কিন্তু আমার বিশ্বাস ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এটা তেমন খারাপ লাগবে না।
" মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সারদের জীবনমান সাধারণ মানুষের মতো না, রাত জাগা , মস্তিষ্কের ঘাম , আর আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার লড়াই সবাই করে না "
Comments
Post a Comment